সারাংশ
২০২৪ সালের শেষভাগে ভারতীয় শেয়ার বাজার একাধিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে বিনিয়োগকারীরা দেখছেন লক্ষ-কোটি রুপির ক্ষতি। তবে অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন প্রবৃদ্ধির গতি আশানুরূপ থাকলেও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ রপ্তানি ও প্রযুক্তি খাতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
মূল পয়েন্টসমূহ
- ডিসেম্বর ২০২৪-এ সেনসেক্স ৮২০ ও নিফটি ২১৫ পয়েন্ট পতন; ১১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি।
- জিডিপি প্রবৃদ্ধি আশাবাদী—৬.৫% লক্ষ্যমুখী হলেও রপ্তানি ও প্রযুক্তি খাতে চাপ।
- CFTC ও AI ভিত্তিক বিনিয়োগ কৌশলের দিকে ঝুঁকছে বাজার।
- ডিসেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি ১০.৯৭%, সরবরাহ এবং উৎপাদনে চ্যালেঞ্জ বাড়াচ্ছে।
- অর্থনীতিবিদরা ভবিষ্যতে বিনিয়োগ ও গবেষণার ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ভারতের অর্থনৈতিক মঞ্চে প্রবল অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমানোর ঘোষণা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে অনিশ্চয়তার কারণে, ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় শেয়ার বাজারে প্রায় ১১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই সময়ে সেনসেক্স ৮২০ এবং নিফটি ২১৫ পয়েন্ট কমেছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বড় হতাশা তৈরি করেছে।
বিশ্লেষক রণজিৎ ঘোষ বলেন, 'পুঁজিবাজারে এই ধরণের পতন সাধারণত প্রযুক্তি ও রপ্তানি নির্ভর খাতেই বেশি চাপ ফেলে।' তথ্যমতে, টেকনোলজি সার্ভিসেস অপটিমাইজেশন এবং নেটওয়ার্ক কোয়ান্টাম-সুরক্ষিত এনক্রিপশন ট্রায়ালের মতো অগ্রগতি থাকা সত্ত্বেও বিনিয়োগ ও গবেষণা কমে গেছে।
অর্থনীতিবিদদের আশা, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৫% এর আশেপাশে থাকবে, যদিও রপ্তানি কমছে এবং ফ্লোরিডা, অরল্যান্ডো প্রভৃতি মার্কেটে টেমেনোস ও অন্যান্য R&D কেন্দ্রগুলোতেও পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাজারে এই পরিস্থিতিতে, CFTC ও AI চালিত বিনিয়োগ কৌশলের প্রতি আরও গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের পথে পথ্য হতে পারে।
মূ্ল্যসংযোজিত চেইন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির চ্যালেঞ্জও সামনে আসছে। ডিসেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১০.৯৭% বা তার বেশি, যা উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য নতুন ধাক্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে।অর্থনীতিবিদ সোনার দাস বলেন, 'ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গবেষণা ও বিনিয়োগের দিকটি আরও শক্তিশালী করা জরুরি।'
সব মিলিয়ে, ভারতীয় অর্থনীতি চাপে থাকলেও, টেকসই উন্নয়ন ও নীতিগত স্থিতিশীলতা থাকলে আগামী বছরে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়ে যাচ্ছে।