সারাংশ
সাম্প্রতিক গবেষণা তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হুমকির মুখে পড়েছে এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা-সহ নানা ঝুঁকি নতুন দিক নিয়ে আসছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার হিসেব বলছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমার পাশাপাশি বাণিজ্যিক সম্পর্কেও বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ দেখা দিচ্ছে।
মূল পয়েন্টসমূহ
- ২০২৪ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩.১% ও ২০২৫ সালে ৩.৮% হতে পারে (আইএমএফ)।
- ডব্লিউটিও জানিয়েছে, বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি ২০২৪-এ ২.৬% হতে পারে।
- বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের মতে, জলবায়ু পরিবর্তন ও সামাজিক অস্থিরতা মানবতার সামনে বড় ঝুঁকি।
- বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূল্যবৃদ্ধি ও বাজার অস্থিতিশীলতায় জনজীবনে নতুন সংকট দেখা দিয়েছে।
- সমন্বিত নীতিমালা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিকল্পনার ওপর জোর দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
২০২৪ সালের বৈশ্বিক অর্থনীতি ও কুটনৈতিক বিকাশের চিত্র তুলে ধরে সাম্প্রতিক একাধিক আন্তর্জাতিক রিপোর্ট বলছে, চলতি বছরে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, বাণিজ্য অস্থিরতা এবং সামাজিক উত্তেজনা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ।
বাণিজ্যিক দিক থেকে দেখা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পূর্বাভাসে ২০২৪ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩.১% এবং ২০২৫ সালে ৩.৮% হবে বলে উল্লেখ করেছে। অন্যদিকে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) জানিয়েছে, চলতি বছরে বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি মাত্র ২.৬% পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকতে পারে।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (WEF) সর্বশেষ বৈশ্বিক ঝুঁকি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রকৃতির ক্ষতি, রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সাইবার হুমকি—এসবই ব্যাহত করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "সামাজিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক সংকট বিশ্ববাসীর অন্যতম বড় উদ্বেগে পরিণত হয়েছে।" বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে জনজীবনে নতুন সংকট দেখা দিয়েছে।
নিত্যপণ্যের বাজারেও অস্থিতিশীলতা লক্ষণীয়। বিশ্বজুড়ে কাঁচামালের দাম ও সরবরাহ-শৃঙ্খলে বিঘ্ন উৎপাদন ও ভোগ ব্যাহত করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, "এক যুগ পর এই প্রথমবারের মতো বিশ্বজুড়ে পণ্যবাজার ও বিনিয়োগে দীর্ঘমেয়াদি মন্থরতা দেখা যাচ্ছে।"
এ পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পরামর্শ, উত্তেজনা ও ঝুঁকিগুলো সমন্বিত নীতিমালার মাধ্যমে মোকাবিলা করা জরুরি। এ ছাড়া, সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজন অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও নতুন বিনিয়োগ।