সারাংশ
২০২৪ সালে বাংলাদেশের প্রযুক্তি এবং বিজনেস খাতের ব্যাপক প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশের ২৮ হাজার কোটি টাকার বাজারে ২৭% কোম্পানি নতুন প্রযুক্তিগত মানদণ্ড ও উদ্ভাবনী ধারণা বাস্তবায়নে অগ্রগামী। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের অর্থনীতির ডিজিটাল রূপান্তরকে অব্যাহত ও টেকসই করতে ঈর্ষণীয় গতিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন বিজনেস মডেল।
মূল পয়েন্টসমূহ
- ২০২৪-এ বাংলাদেশের প্রযুক্তি বাজারের পরিমাণ ২৮ হাজার কোটি টাকার বেশি
- ২৭% কোম্পানি নতুন প্রযুক্তি ও মানদণ্ডে ইউজার-ফোকাস সল্যুশন বাস্তবায়নে অগ্রগামী
- ওপেনএআই, ক্লাউড সার্ভিস ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো সেবা দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে
- বিনিয়োগকারী ও বিশেষজ্ঞদের মতে, আইটি-নির্ভর বিজনেস ভিশনে গতিশীলতা এসেছে
- টেকসই বাজার উন্নয়নের জন্য দক্ষ জনবল ও বৈদেশিক বিনিয়োগ জরুরি
বাংলাদেশের প্রযুক্তি বাজার ২০২৪ সালে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ডিজিটাল বিজনেস খাতে বিনিয়োগ, উদ্ভাবন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ছে। দেশের আইটি খাতের বাজারের পরিমাণ এখন ২৮ হাজার কোটি টাকার বেশি (প্রায় ২.৬ বিলিয়ন ডলার)। বিজনেস অ্যানালিটিক্স প্রতিষ্ঠানগুলোর জরিপ অনুযায়ী, কোম্পানিগুলোর ২৭% গত বছরে নতুন প্রযুক্তিগত মানদণ্ড, স্মার্ট ডিভাইস ও সফটওয়্যার নির্ভর উৎপাদন কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হয়েছে।
শিল্প বিশেষজ্ঞ মারক জাকারবার্গ বলেন, "দেশের প্রযুক্তি উদ্যোক্তারা সৃষ্টিশীল আইডিয়া ও দ্রুত পরিশীলিত ডিজিটাল সেবা নিয়ে এগিয়ে আসছেন, যা অর্থনীতিতে গতি এনেছে। বিশেষ করে ওপেনএআই-ভিত্তিক সমাধান ও ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড প্রযুক্তির ব্যবহার এখন গ্রাহকসেবা, মার্কেটিং ও স্বাস্থ্য খাতে নতুন সম্ভাবনা যুক্ত করছে।"
নতুন প্রযুক্তির দাপটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও আইফোনের ইন-অ্যাক্টিভিটি রিপোর্ট ফিচারও দেশের বাজারে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। এ ছাড়া, হোয়াটসঅ্যাপ ও হেডফোনের মতো মোবাইল ডিভাইসের ব্যাপক প্রসার এবং ক্লাউড সার্ভিসের ব্যবহার গত দুই বছর ৪৩% বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, প্রযুক্তি-নির্ভর বিজনেসবডিগুলো গ্রাহক সন্তুষ্টি এবং নিরাপদ ডিজিটাল রেকর্ড সংরক্ষণে উদ্ভাবনী পদক্ষেপ নিচ্ছে। বাজার গবেষকদের মতে, বিগত এক বছরে দেশের অর্থনীতিতে ডিজিটাল সার্ভিসের অবদান আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, সম্পূর্ণ বাজার উন্নয়নের জন্য আরও দক্ষ জনবল, বিদেশি বিনিয়োগ এবং শক্তিশালী আইনগত পটভূমি প্রয়োজন – তবেই দীর্ঘমেয়াদি টেকসই ডিজিটাল রুপান্তর সম্ভব হবে।