সারাংশ
২০২৫ সালের শুরুতেই বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের অস্থিরতার আভাস মিলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের শেয়ারবাজারে লক্ষণীয় পতন, বাজেট ও বিশ্ব রাজনীতির চাপ, সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ২০০৮-এর দুঃস্বপ্নকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে এ বছর।
মূল পয়েন্টসমূহ
- ২০২৫ সালের শুরুতেই ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শেয়ারবাজারে বড় পতন, Sensex-এ ৯২১.৮৮ পয়েন্ট কমেছে।
- বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি ৪.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে; মার্কিন বাজারও ১.৮% পড়েছে।
- ভারতে GDP প্রবৃদ্ধি ৬.৫% প্রত্যাশিত; বাজেট বরাদ্দ ও নীতি নিয়ে অস্থিরতা বাড়ছে।
- বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, ২০২৫-এর বাজার পতন ২০০৮-এর তুলনায় মারাত্মক হতে পারে।
- বিশ্ববাজারে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে, প্রতিদিনের জীবনে প্রভাব পড়ছে।
২০২৫ সাল অর্থনৈতিক দোলাচলের বছর হয়ে উঠতে চলেছে—বিশেষজ্ঞদের এমন সতর্ক বার্তায় আন্তর্জাতিক সরব। ফেব্রুয়ারিতে BSE Sensex-এ ৯২১.৮৮ পয়েন্টের পতনে বিনিয়োগকারীদের ৪.৩৬ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে, জানিয়েছে ABP Live। একই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের S&P 500 ও Dow Jones সূচকও ১.৮% পর্যন্ত পড়ে যায়, যার জন্য বিশ্লেষকরা ট্রাম্পের ট্যারিফ নীতি ও বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন (সূত্র: TV9 বাংলা)।
ভারতের আর্থিক বর্ষ ২০২৪-২৫-এ GDP প্রবৃদ্ধি ৬.৫% থাকার সম্ভাবনা থাকলেও (আনন্দবাজার পত্রিকা), বাজেট ২০২৫-এ ১৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দে বাজারে নতুন প্রত্যাশার পাশাপাশি উদ্বেগও রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাজেটে যদি কাঙ্খিত কর সংস্কার বা বিনিয়োগ নীতিতে গতি না পাওয়া যায়, তবে বাজার ফের নিম্নমুখী হতে পারে।
এদিকে, মার্কিন বিশ্লেষকরা আরও ভয়াবহ সতর্কবার্তা দিচ্ছেন—২০২৫-এ বাজার পতন ২০০৮ সালের থেকেও খারাপ হতে পারে (সূত্র: ABP Live)। বৈশ্বিক অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ, জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি এখন বড় ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতির ঘটনাও যথেষ্ট দৃষ্টিআকর্ষণ করছে: সইাবিনের দাম ২১.৩%, চিনির ২০%, মাসুর ডালের ২৪%, অঙ্কুর ডালের ১৪%, রাসুনের ১০%, শুল্ক মাশরুমের ১৭৩%, আদার ২৯০%, গুড়ের ৯৪%, লবণের ১৩%, ডিমের ২৯% পর্যন্ত বাড়তি বোঝা সাধারণ মানুষের উপর পড়ছে (ভোরের সময়)।
বিশ্লেষকরা বলছেন, 'বিনিয়োগকারী ও সাধারণ জনগণ, সবারই সামনে একটি চ্যালেঞ্জিং বছর অপেক্ষা করছে। অনেক ক্ষেত্রেই রক্ষণশীল অর্থনৈতিক পরিকল্পনা এবং বিচক্ষণ সিদ্ধান্তই হতে পারে বিপদ এড়ানোর মূল চাবিকাঠি।'
অর্থনীতি পর্যবেক্ষকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন, 'বাজেট, বিস্তৃত বাণিজ্য নীতি এবং বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া ও ঝুঁকিনিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন', উল্লেখ করেন অর্থনীতিবিদ ড: আমান গুপ্ত।