সারাংশ
সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী, ৮২% বাংলাদেশি ২০২৮ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন দেখতে চায়। জরিপে আরও জানা যায়, ৯১.২% মানুষ চায় নির্ভুল ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন এবং নাগরিক কমিটির রিপোর্টে গ্রেফতারের ওপর বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
মূল পয়েন্টসমূহ
- ৮২.১% ভোটার ২০২৮ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচন চান
- ৯১.২% মানুষ নির্ভুল ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন চায়
- জাতীয় নাগরিক কমিটির কমপক্ষে দুই সদস্য নির্বাচনী প্রস্তুতিকালে গ্রেফতার
- বিশেষজ্ঞরা সুশাসন ও গণতান্ত্রিক পরিবেশের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন
- জনগণের মূল দাবি—অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ নির্বাচন
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জন-মত ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত এক সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ৮২.১% ভোটার ২০২৮ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন চান। জরিপের উল্লেখযোগ্য ফলাফলে প্রকাশ, অংশগ্রহণকারীদের ৯১.২% আগামী নির্বাচনে সকল অংশীজনের স্বচ্ছ ও নির্ভুল প্রতিযোগিতাপূর্ণ অংশগ্রহণ কামনা করছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, “জনগণের স্পষ্ট বার্তা—সুশাসন ও অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র ছাড়া রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়,” (সূত্র: netra.news)। নাগরিক সমাজ এই প্রসঙ্গে সাবধানবার্তা দিচ্ছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, নির্বাচনী পরিবেশের প্রস্তুতি চলাকালীন অন্তত দুইজন সদস্য গ্রেফতার হয়েছেন, যা গণতান্ত্রিক পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংস্থার নেতারা (সূত্র: উইকিপিডিয়া)।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আইনি ও রাজনৈতিক নিপীড়ন ছাড়া স্বচ্ছ নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে সমাজের সব শ্রেণির অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ। এক নাগরিক অধিকার আন্দোলনকর্মী বলেন, “এই জরিপ আমাদের দেখিয়েছে যে, সঠিক নির্বাচন এবং প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা প্রয়োজন।”
নির্বাচনের ব্যাপারে রাজনীতিক দিক থেকে কোনও জোর-জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপ না নেয়ার এবং সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মহল। সামগ্রিকভাবে দেখা যাচ্ছে, মূলধারার জনমতের কেন্দ্রে আছে অংশগ্রহণমূলক, সুশৃঙ্খল এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, যেখানে সাধারণ মানুষ ও নাগরিক কমিটির সুর মিলেছে স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক চর্চার দাবিতে।