সারাংশ
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৮২ শতাংশ বাংলা অনলাইন সংবাদে বৈজ্ঞানিক তথ্য ও গবেষণার যথাযথ উল্লেখ নেই। এই তথ্য আমাদের সামাজিক সচেতনতা, রোগ-ব্যাধি সম্পর্কে জনমত, সরকারি নীতিমালা এমনকি জনস্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে প্রভাব ফেলতে পারে। গবেষকরা সতর্ক করেছেন, অনেক ক্ষেত্রেই ভুল তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
মূল পয়েন্টসমূহ
- গবেষণায় দেখা গেছে, ৮২ শতাংশ বাংলা অনলাইন সংবাদে বৈজ্ঞানিক তথ্য ও উৎস অনুপস্থিত।
- বিশেষজ্ঞদের মতে জনস্বাস্থ্য ও সমাজে ভুল তথ্যের ঝুঁকি বেড়েছে।
- বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ছাড়া সংবাদ অপপ্রচার ও তথ্যবিকৃতির কারণ হতে পারে।
- দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা ও তথ্য যাচাইয়ে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান গবেষকদের।
- স্বচ্ছতা ও সমাধানমুখী জনমত গঠনে বিজ্ঞানভিত্তিক সংবাদ অপরিহার্য।
বাংলা অনলাইন সংবাদপত্রে বৈজ্ঞানিক তথ্যের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে কম—সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, প্রায় ৮২ শতাংশ সংবাদে নির্ভরযোগ্য বৈজ্ঞানিক ভিত্তি অনুপস্থিত। এ গবেষণায় দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র ও ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, বেশিরভাগ সংবাদ প্রতিবেদনেই এমন কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণা, তথ্য কিংবা বিশেষজ্ঞ মতামত নয় বরং অনুমান, মতামত ও অপূর্ণাঙ্গ তথ্যের ওপর ভিত্তি করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তথ্যবিকৃতি ও অপপ্রচার প্রতিরোধে সমাজে বিজ্ঞানমনস্ক সংবাদ পরিবেশনের বিকল্প নেই। জনস্বাস্থ্য, মহামারি সংক্রান্ত রিপোর্ট কিংবা প্রযুক্তি ও প্রযুক্তির নীতিনির্ধারণ—সব ক্ষেত্রেই বিজ্ঞানের উপস্থিতি দরকার বলে মনে করেন গবেষকরা। গবেষণা মতে, "সংবাদের বিশ্বস্ততা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর পাশাপাশি ভংরকম তথ্যসহ বিস্তার রোধে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আবশ্যক।"
বাংলাদেশের জনসাধারণের তথ্যপ্রাপ্তি, রোগবালাই সম্পর্কে ঠিক জানা এবং সরকারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে বৈজ্ঞানিক সাংবাদিকতার প্রসার গুরুত্ব পাবে বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক গণমাধ্যম বিশ্লেষক। স্বাধীন তথ্যপ্রবাহ ও সমাধানমুখী সংবাদ পরিবেশনে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান অপরিহার্য। গবেষক দলের আহ্বান, সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম সমূহ আরও দায়িত্বশীলতার সাথে বৈজ্ঞানিক সত্য ও গবেষণার দিক বিবেচনায় গুরুত্ব দিক।