সারাংশ
সাম্প্রতিক ৮২ ঘণ্টায় ভারতের শেয়ারবাজারে বড়সড় পতন লক্ষ্য করা গেছে, যেখানে সেনসেক্স ১,০০০ পয়েন্টের নিচে নেমেছে। বাজার বিশ্লেষকরা জানান, মুদ্রাস্ফীতি উদ্বেগ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা ছড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা পরিস্থিতির উন্নতিতে নীতিগত স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করছেন।
মূল পয়েন্টসমূহ
- ৮২ ঘণ্টার মধ্যে সেনসেক্সে ১,০০০+ পয়েন্ট পতন
- মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় বাজারে অস্থিরতা
- মূলধন বাজারে ক্রেতা পরিবর্তন ও নতুন বিনিয়োগকারীর দ্বিধা
- ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টরের সক্রিয় ভূমিকার ফলে বাজারে দ্রুত সংস্কারের সম্ভাবনা
- বিশেষজ্ঞদের মতে, মৌলিক বিশ্লেষণ ও নীতিগত পদক্ষেপে এ সংকট উত্তরণ সম্ভব
সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রকাশ, ২০২৪ সালের জুনের শুরুর দিকে মাত্র ৮২ ঘণ্টার ব্যবধানে শেয়ারবাজারে নজিরবিহীন অস্থিরতা লক্ষ্য করা গেছে। সেনসেক্স ১,০০০ পয়েন্টের বেশি পতন ঘটিয়েছে, যার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা, সংশোধনকে ঘিরে উদ্বেগ এবং ইসলামী ইনস্টিটিউটের পুনর্নির্বাচন নিয়ে বাড়তে থাকা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, মূলধন বাজারে সুস্পষ্টভাবে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে গেছে। "বর্তমানে বাজারে মিশ্র ট্রেন্ড লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকে মুনাফা তুলে নিচ্ছেন, আবার কেউ নতুন বিনিয়োগে দ্বিধান্বিত," বলেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষক সৌরভ দাস। তিনি আরও যোগ করেন, "মুদ্রাস্ফীতির প্রকোপ বেড়ে গেলে, ক্রেতা ও বিক্রেতার মনস্তত্ত্বে বড় রকমের প্রভাব পড়ে।"
তবে বিনিয়োগকারীদের জন্য সুসংবাদও আছে। অতীতের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাজার পড়ে গেলে সংযম ও বিচক্ষণতাই সবচেয়ে বেশি দরকার। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এরকমই এক পতনের পরপরই বাজারে তুলনামূলক দ্রুত সংস্কার এসেছিল।
গবেষণা আরও জানাচ্ছে, নতুন প্রজন্মের বিনিয়োগকারীরা বিশেষ করে ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টররা টেকা রাখা, বাইস চেঞ্জ ও পুনরায় পজিশন নেওয়ার স্ট্র্যাটেজি ব্যবহার করছেন, যা বাজারে পুনরুদ্ধারে সহায়ক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আলোচিত গবেষণা প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, বর্তমান সংকটে বেশিরভাগ শেয়ার নীচের দিকে থাকলেও, সার্বিক সূচক ও সংগঠিত কোম্পানির শেয়ার আগামীতে আবারো শক্তি পাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন অধিকাংশ বাজার বিশ্লেষক।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বৈশ্বিক বাজার প্রবণতা, নীতি নির্ধারণে দ্রুত পদক্ষেপ এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করতে পারলে, চলমান অস্থিরতা দ্রুত সমাধান হতে পারে।
(সূত্র: bengalbyte.in, bhorersomoy.com | তারিখ: ৯ জুন ২০২৪)