সারাংশ
২০২৪ ও ২০২৫ সালের গুরত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশের নির্বাচনী দিগন্তে নানা উত্তাপ ও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ ও ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির মতো জোটমূলক রাজনীতি আগামী বছরের নির্বাচনী রাজনীতিকে আরও চাঙ্গা করে তুলবে।
মূল পয়েন্টসমূহ
- ২০২৫ সালে নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ ও হালনাগাদ হবে
- নতুন রাজনৈতিক জোট 'ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি' রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে
- তরুণ ও নারী ভোটারের অংশগ্রহণ বাড়ছে
- স্বচ্ছ ও তথ্যসমৃদ্ধ ভোটার তালিকার দিকে জোর দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন
- গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ নির্বাচনের উপর গুরুত্বারোপ
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ২০২৪ ও ২০২৫ সালের মধ্যবর্তী সময় অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন দেশের নির্বাচন ও সমাজ বিশ্লেষকেরা। সম্প্রতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর গবেষণা তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষ থেকে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে দেশের সমাজ-রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও যুগোপযোগী করণের মধ্য দিয়ে ২০২৫ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের সূত্র মতে, ২০২৫ সালের মার্চ মাসেই নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে, যেখানে সারা দেশের প্রায় ১১ কোটি ৯৯ লাখ ৮২ হাজার ভোটারের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে।। এই অনুযায়ী, 'আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য ভোটার ডাটাবেজের মাধ্যমে স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে কাজ করছে কমিশন'—বলেছেন এক নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নতুন রাজনৈতিক দল ও জোট, বিশেষত 'ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি'-এর উত্থান রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তাদের দাবি, বিদ্যমান বিতর্ক ও সাময়িক অস্থিরতা কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। ইতোমধ্যে ২০২৫ সালের আগষ্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চেয়ে অনেক দল আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ড. ইউনূস বলেন, 'নতুন ভোটার ও জোটভিত্তিক রাজনীতি দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি শক্তিশালী করার পথ প্রশস্ত করবে।'
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভোটার সংযোজন কার্যক্রম চলবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর মাধ্যমে তরুণ ও নারী ভোটারের অংশগ্রহণ আগের চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে।
সমাজবিজ্ঞানী ড. রাশেদ বলেন, 'যতবেশি স্বচ্ছতা ও তথ্যভিত্তিক ভোটার তালিকা প্রস্তুত হবে, ততবেশি বিশ্বাসযোগ্যতা পাবে আমাদের নির্বাচন।' আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের মতে, বাংলাদেশে একটি উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ নির্বাচনী পরিবেশ গড়ে তোলা গোটা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা হবে।
সব মিলিয়ে, আগামীর নির্বাচনে ই-ভোটিং, সমাজ-ভোটার তালিকা ও জোটভিত্তিক রাজনীতির যেমন গুরুত্ব বাড়ছে, তেমনি রাষ্ট্র ও জনগণের প্রত্যাশাও অতীতের তুলনায় বাড়তি নজর পাচ্ছে।