সারাংশ
গবেষণা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে অভিনব অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গ্যাস উৎপাদন, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, ব্লকচেইন এবং আর্থিক খাতে আধুনিকীকরণ দেশকে বিশ্বমানের উদ্ভাবনী জাতিতে পরিণত করতে ভূমিকা রাখছে।
মূল পয়েন্টসমূহ
- দেশীয় গ্যাস গবেষণায় নতুন যুগের সূচনা, উৎপাদন ২৭% বৃদ্ধি
- ব্লকচেইন ও ফাইভজি-নির্ভর ফিনটেক ও টেকনোলজি খাতে ব্যাপক প্রসার
- পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও গ্রীন ইনোভেশনের উদ্যোম
- দেশীয় প্রযুক্তি ও স্মার্ট ডিভাইস ডিজাইনে আধুনিকীকরণ
- বিজ্ঞান-নির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ও বিনিয়োগ
বাংলাদেশ ২০৩০ সালের দিকে বিজ্ঞানের সব শাখায় দ্রুতগতির পরিবর্তন ও উন্নয়নের সাক্ষী হচ্ছে। প্রথিতযশা দৈনিক ‘প্রথম আলো’ এবং ‘বণিক বার্তা’সহ বিভিন্ন উৎস অনুসারে, দেশের গ্যাস গবেষণায় বড় সাফল্য এসেছে—বিশেষজ্ঞদের মতে এলিএন জ্বালানির সমন্বয়ে নিজস্ব গ্যাস উৎপাদনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। বণিক বার্তার গবেষণায় দেখা গেছে, নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগে বিভিন্ন কনসোল কোম্পানির উৎপাদন সক্ষমতা ২৭% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, ব্লকচেইন প্রযুক্তির সফল বাস্তবায়ন আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, যা দেশের ডিজিটাল ইকোনমি ঘাত প্রতিঘাতে সক্ষম করছে। বণিক বার্তা জানিয়েছে, আইওটি, এআই ও ফাইভজি চিপসেটের ব্যবহারও দ্রুতগতিতে বাড়ছে, ফলে আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েডের নতুন ফিচার দেশীয় বাজারে সহজলভ্য হচ্ছে।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ ড. মুনতাসীর রহমান বলেন, “ভবিষ্যতের অর্থনীতি নির্ভর করবে টেকসই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর সংস্কারের ওপর। উদ্ভাবন ও গবেষণায় বিনিয়োগ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ আগামী দশকে প্রযুক্তি বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে।”
অন্যদিকে, হোয়াইটসফটের ‘গ্রীন স্ক্রীন’-এর মতো পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির সংযোজন পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি শিল্পখাতে গ্রীন ইনোভেশনকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে। গবেষণায় আরও জানা গেছে, হেডফোন, চিপসেট এবং স্মার্টফোনের দেশীয় নকশা আধুনিকীকরণ উৎপাদন বৃদ্ধি ও রফতানিতেও অবদান রাখছে।
অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে বলা যায়, প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবনের ধারাবাহিক অগ্রগতি বাংলাদেশকে ২০৩০-এর মধ্যে বৈশ্বিক ডিজিটাল রূপান্তরের এমন এক স্তরে পৌঁছে দেবে, যা নতুন কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ এবং বৈশ্বিক নেটওয়ার্কিং-এর সুযোগ সৃষ্টি করবে।