সারাংশ
সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৮১.১% বাংলাদেশি নাগরিক ২০২৪ সালের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দেখতে চায়। এই জনমত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও কার্যকর সরকার গঠনের আশাকেই প্রতিফলিত করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি দেশের বিয়েপি-জামায়াত ও বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর মধ্যকার সমন্বয় সাধনের পথও সুগম করতে পারে।
মূল পয়েন্টসমূহ
- ৮১.১% বাংলাদেশি নাগরিক ২০২৪ সালের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চায়
- ২৯% জরিপ অংশগ্রহণকারী নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন চান
- বিয়েপি-জামায়াত ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয় প্রত্যাশা স্পষ্ট
- দ্রুত নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে
- বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণতান্ত্রিক চেতনাকে চাঙ্গা রাখার দিকেই এগোচ্ছে দেশের জনমত
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে জনমত আবারও সরব। সম্প্রতি প্রকাশিত এক জনমত জরিপে উঠে এসেছে, দেশের ৮১.১% নাগরিক চান ২০২৪ সালের শেষের দিকেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। শুক্রবার (১৩ জুন) প্রকাশিত এই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের বড় অংশ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে অগ্রাধিকার দিয়েছেন নির্বাচনকে।
জরিপে অংশ নেওয়া ৮১.১% উত্তরদাতা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন চান, যেখানে মাত্র ১৯% বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে সময় নিয়ে অপেক্ষা করতে আগ্রহী। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রবল জনআগ্রহ মূলত অর্থনৈতিক অগ্রগতি, বহুমুখী রাজনৈতিক সমস্যার দ্রুত সমাধান এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও প্রত্যাশার প্রতিফলন।
এ সম্পর্কে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. ইউনুস বলেন, “বাংলাদেশি ভোটারেরা স্থিতিশীল ও জবাবদিহিতামূলক সরকার গঠনে আগ্রহী। দ্রুত নির্বাচন হলে আন্তর্জাতিকভাবে দেশের ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী হবে।”
বিশেষ করে, জরিপে দেখা যায়, ২৯% অংশগ্রহণকারী অনতিবিলম্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন দেখতে চান, যাতে ভোটের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত হয়। অন্যদিকে, বিশাল অংশ ভোটারই বিয়েপি-জামায়াতের সমন্বয় ও নতুন রাজনৈতিক দিকনির্দেশনার দরকারের কথাও জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক পর্যালোচনাতেও দেখা গেছে, জনমনে দ্রুত নির্বাচন ও সরকার গঠনের স্পষ্ট আশা পোষণ করছেন তারা। ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন না হলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অর্থনৈতিক সংকট আরও তীব্র হতে পারে—এমন আশঙ্কাও করা হয়েছে।
সবশেষ, এই জরিপ দেশের গণতান্ত্রিক চেতনাকে চাঙ্গা করেছি বলেও মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। বস্তুনিষ্ঠ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্যেই দেশের সার্বিক অগ্রগতি সম্ভব—এটাই এই গবেষণার মূল বার্তা।