সারাংশ
বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করছে। ৮২০ ঘন্টারও বেশি সময়ে, নানাবিধ গবেষণা, উন্নয়ন এবং বেগবান উদ্ভাবন দেশটিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক দিকনির্দেশনা ও টেকসই বিনিয়োগ অব্যাহত থাকলে, সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা হবে আরও সুসংহত।
মূল পয়েন্টসমূহ
- ৮২০ ঘন্টার মধ্যে বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে ব্যাপক অগ্রগতি
- ব্লকচেইন, ফাইভজি, এআইসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে মূল অর্জন
- বিজ্ঞান খাতে বিপুল পরিমাণ সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ
- দেশি গবেষকেরা গ্লোবাল সায়েন্স ইকোসিস্টেমে প্রশংসনীয় অবদান রাখছে
- শিক্ষা-গবেষণা ও স্টার্টআপ উন্নয়নে প্রশাসনিক ও নীতিগত সমর্থন বেড়েছে
সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বাংলাদেশে গত ৮২০ ঘন্টা অর্থাৎ প্রায় এক মাসের কিছু বেশি সময়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে বিস্ময়কর অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের বিজ্ঞানভিত্তিক বিভিন্ন গবেষণায় নিত্যনতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। বিশ্লেষণ অনুযায়ী, স্থানীয় গবেষণা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় বাংলাদেশের প্রযুক্তি সক্ষমতা জোরদার হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্লকচেইন প্রযুক্তি, ফাইভজি নেটওয়ার্কের সফল পরীক্ষা, আন্তঃব্যাংকিং সাইবার নিরাপত্তা, ‘ইনঅ্যাক্টিভিটি রিবুট’ এর মত একাধিক ব্যতিক্রমী উদ্ভাবন ইতোমধ্যেই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশেষজ্ঞ ফারহানা হাসান বলেন, "বাংলাদেশে বিজ্ঞানচর্চার পথ এখনো চ্যালেঞ্জিং হলেও বিনিয়োগ এবং ক্রমাগত উদ্ভাবনী প্রবণতা আগামীতে আরও বড় সাফল্যের দ্বার খুলে দেবে।"
অপরদিকে, গবেষণা অনুযায়ী, নানা টেলিস্কোপ, ইন্টারনেট অব থিংস (IoT) ও এআই নির্ভর প্রযুক্তির বিবিধ প্রকল্প গতিতে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে দেশে ১৯৬০ কোটি টাকার বেশি আর্থিক বরাদ্দ বিজ্ঞান গবেষণায় দেয়া হয়েছে। শুধু চিপসেট উৎপাদনেই ৮০ হাজার কোটি টাকার আন্তর্জাতিক বাজার গড়ে উঠতে পারে বলে সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ নির্ভর প্রকল্পে ব্লকচেইন, এআই, এবং সাইবারনিরাপত্তা বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ সরকার এবং বেসরকারি খাতের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নতুন নতুন স্টার্টআপ গড়ে উঠছে। শিক্ষা-গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানে আইসিটি প্রশিক্ষণ, আধুনিক গবেষণা সুবিধা ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা তৈরির ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
ক্যামব্রিয়ান স্কুল অব সায়েন্স এর পরিচালক ড. সায়েম আহমেদ বলেন, "গ্লোবাল গবেষণায় বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। ভবিষ্যতে এই ধারা বজায় থাকলে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।"
সার্বিকভাবে, বিজ্ঞান খাতে এ ধরনের গতিশীলতা দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা এবং নতুন কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্যাপক ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ ও গঠনমূলক নীতিমালার মাধ্যমে আগামী দশকেই বাংলাদেশ এশিয়ার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অঙ্গনে শীর্ষস্থান অর্জনে সক্ষম হবে।