সারাংশ
গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে ২১ জন নতুন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং কেউ নতুন মৃত্যু হয়নি। অন্যদিকে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৮০ জনে। বিশেষজ্ঞরা ভাইরাস সংক্রমণ ও বায়ুদূষণ রোধে এবং সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বারোপ করেছেন।
মূল পয়েন্টসমূহ
- গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ২১ জন, মৃত্যুহীন দিন
- ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, মোট মৃত ৯৮০ জন
- কোভিড সংক্রমণের হার ০.৯৮ শতাংশ (২,০৯৩টি নমুনা পরীক্ষা)
- ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ২৮৭ জনের বেশিরভাগই ঢাকায়
- বিশেষজ্ঞদের মতে, কড়া চিকিৎসা তদারকি ও বাইয়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ জরুরি
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এবং ডেঙ্গু পরিস্থিতির সাম্প্রতিক আপডেটে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা পুনরায় সতর্কবার্তা জারি করেছেন। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের (৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যানে জানা গেছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯-এ নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ২১ জন, মৃতের সংখ্যা নেই। সংশ্লিষ্ট সময়ে মোট ২,০৯৩টি নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণের হার ছিল ০.৯৮%।
অন্যদিকে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, ফলে চলতি বছরের মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৮০ জনে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ২৮৭ জন। রাজধানী ঢাকাতেই রয়েছে সর্বাধিক রোগীর উপস্থিতি, যা ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র বলেন, ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণ এখনও চলমান, তবে মৃদু। তবে ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার এখনো স্বল্প হলেও হঠাৎ পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হতে পারে।’
বায়ুদূষণ এবং নিন্ম মানের স্বাস্থ্যবিধি এই পরিস্থিতিকেও জটিল করে তুলছে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত। তারা আরও বলেন, ‘কোভিড ও ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কড়া তদারকি এবং বাহ্যিক সংক্রমণ প্রতিরোধে নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি ও পরিবেশ দূষণ কমানোর উদ্যোগ জরুরি।’
এদিকে, চিকিৎসকরা সামাজিক সচেতনতা এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে বলছেন। জনস্বাস্থ্যবিদরা মনে করেন, ‘বাইয়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ, ভ্যাকসিনেশন ও সতর্কতাই পারে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল রাখতে।’
নতুন এই পরিস্থিতিতে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমন্বিত পদক্ষেপ এবং জনসম্পৃক্ততার উপরেই নির্ভর করছে আগামী দিনের সফলতা।