সারাংশ
সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ৮৬ শতাংশ বাংলাদেশি ভোটার নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন চায়। সংবিধান সংস্থার এই গবেষণায় ২০২৩ সালের শেষ থেকে ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে ভোটারদের রাজনৈতিক মনোভাব ও চাহিদার শক্তিশালী পরিবর্তন সামনে এসেছে।
মূল পয়েন্টসমূহ
- ৮৬% ভোটার নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন চান
- মাত্র ৬% ভোটার বর্তমান সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন
- ৪৫,৯২৫ জন ভোটারের অংশগ্রহণে জরিপ পরিচালিত হয়েছে
- নিরপেক্ষ নির্বাচন ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণের দাবি বেড়েছে
- বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ প্রবণতা সরকার ও রাজনৈতিক দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা
বাংলাদেশে নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবি প্রবলভাবে বাড়ছে। সংবিধান সংস্থা পরিচালিত সর্বশেষ জরিপে উঠে এসেছে, দেশের ৮৬ শতাংশ নাগরিক নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়, যেখানে মাত্র ৬ শতাংশ ভোটার বর্তমান সরকারের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেছে। এই জরিপ গত কয়েক মাসে দেশের ৪৫,৯২৫ জন ভোটারের মধ্যে পরিচালিত হয়।
সংস্থাটির প্রধান গবেষক ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, 'বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জনগণের বৃহৎ অংশ নিরপেক্ষ সরকারের ওপর আস্থা রাখছে।' তিনি আরও জানান, ভোটাররা বরাবরই গণতান্ত্রিক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৩ সালের শেষ থেকে ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে রাজনৈতিক পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন, নিরাপত্তা ও আস্থার সংকট ভোটারের মানসিকতায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। গবেষণায় দেখা যায়, অংশগ্রহণকারী অধিকাংশই গত নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন এবং একটি নির্ধারিত ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থার দাবিদার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, 'এই প্রবণতা সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।' পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় এইবার নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। আরও জানা গেছে, সংস্থাটি শুধু জরিপই নয়, বরং রাজনৈতিক সচেতনতা ও জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নেও বিশ্লেষণ চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি সংবিধান সংস্থার এই প্রতিবেদন দেশের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে, যেখানে পরবর্তী নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতার লক্ষ্যে আরও কড়া মনোভাবের প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট।