সারাংশ
গত ২০ বছরে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি গুরুত্মপূর্ণ জাতীয়, নীতি ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ খোঁজার ফলে দেশ উন্নয়নের নতুন ধাপে প্রবেশ করেছে। সাম্প্রতিক সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবে সরকারের মেয়াদ ৫ বছর থেকে কমিয়ে ৪ বছর করার সুপারিশ আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, পরিবর্তনগুলো দীর্ঘমেয়াদে সুশাসন, জবাবদিহিতা ও উন্নয়ন-নীতিকে গতিশীল করবে।
মূল পয়েন্টসমূহ
- সংবিধান কমিশনের নবীন সুপারিশ অনুযায়ী সরকারের মেয়াদ ৫ বছর থেকে কমিয়ে ৪ বছর করার আলোচনা চলছে
- ‘দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা’ (২০০৭-২০১৭) অনুসরণ করে ২০২৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সক্রিয়
- নতুন পরিকল্পনা ও নীতিতে গণতন্ত্র, সামাজিক সুরক্ষা, বহুত্ববাদ ও জবাবদিহিতাকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে
- বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ পরিবর্তন দীর্ঘমেয়াদে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নীতিনির্ধারনকে এগিয়ে নেবে
- জাতীয় উন্নয়ন সূচকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে
বাংলাদেশে বর্তমানে সংবিধান সংস্কার ও জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার উপর নতুন আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। ২০২৪ সালের জুনে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, সাম্প্রতিক সংবিধান কমিশনের প্রস্তাবে সরকারের মেয়াদ ৫ বছর থেকে কমিয়ে ৪ বছর করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই পরিবর্তনকে দেশের নীতি এবং প্রশাসনিক পরিকাঠামোর জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিগত ২০ বছরে এই ধরনের সাংবিধানিক প্রশ্নগুলো গুরুত্ব পেয়েছে। বিশেষ করে, ২০০৭-২০১৭ মেয়াদি ‘দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা’র সুফলে বাংলাদেশ ২০২৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাতে আত্মবিশ্বাসী। এই পরিকল্পনার বলয়েই অর্থনীতি, মানবসম্পদ, সামাজিক নিরাপত্তা এবং জবাবদিহিতাসহ সমন্বিত উন্নয়নের নীতি নির্ধারণ হয়ে থাকছে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “বিচক্ষণ ও গতিশীল প্রশাসনের জন্য সংবিধানে উপযোগী সময়ে পরিবর্তন জরুরি। সংবিধানের মেয়াদ সংক্ষিপ্ত হলে নীতিনির্ধারক ও জনপ্রতিনিধিদের মাঝে আরও জবাবদিহিতা আসবে।” (সূত্র: প্রতিদিনের সংবাদ, ২০২৪-০৬-০৬)
এছাড়া, সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জাতীয় গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা, বহুত্ববাদ এবং ন্যায়বিচারের মতো মৌলিক প্রশ্নে কমিশন সুপারিশ করেছে যাতে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সূচক অনুযায়ী, সাম্প্রতিক দশকে বাংলাদেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্যে, এবং অবকাঠামোয় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জন করেছে। নতুন প্রস্তাবিত সরকারী মেয়াদ, নীতি ও প্রশাসনের স্বচ্ছতা এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রতি অঙ্গীকার আরও দৃঢ় করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যে, এসব পরিবর্তন বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ তার ২০৪১ সালের উন্নত রাষ্ট্র হবার লক্ষ্য অর্জনের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।