সারাংশ
গত দুই দশকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে দৃশ্যমান অগ্রগতি হলেও, বিশেষ চ্যালেঞ্জগুলো এখনো কাটেনি। ২০২৩-২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী সেবার বিস্তৃতি বাড়লেও, মান ও অর্থনৈতিক টেকসইতা বড় বাধা হিসেবে রয়ে গেছে।
মূল পয়েন্টসমূহ
- স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি গত দুই দশকে উল্লেখযোগ্য; কোভিড সংক্রমণ ২১ জেলায় প্রায় শূন্য
- ২০২৩-২৪ সালের তথ্য মতে, ডেঙ্গু রোগে ৫টি অঞ্চলে সর্বাধিক আক্রান্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত
- স্বাস্থ্য বাজেটের সীমাবদ্ধতা এবং দক্ষ জনবলের অভাব বড় চ্যালেঞ্জ
- সংস্থাগুলোর মাত্র ১৩% আন্তর্জাতিক মানে স্বীকৃত হয়েছে, এখনও বড় অংশকে মানোন্নয়নের আওতায় আনতে হবে
- এগিয়ে যেতে বাজেট বৃদ্ধি, অবকাঠামো ও প্রশিক্ষণ উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করলেন বিশেষজ্ঞরা
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে সাম্প্রতিককালে অভূতপূর্ব সাফল্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২০২৩-২০২৪ সালের জাতীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ২১টি জেলা কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে, যা সমগ্র দেশের গণস্বাস্থ্যের জন্য একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) দেশটির ১৩% স্বাস্থ্য সুবিধাকে আন্তর্জাতিক মান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
অন্যদিকে, প্রতিবেদন বলছে, বছরের শেষে ঢাকা শহরে ৫টি অঞ্চল ডেঙ্গুতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, যেখানে প্রতি অঞ্চলে গড়ে ৫০৩টি রোগী শনাক্ত হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উপজেলার ৮০% স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিতে সক্ষম হলেও মাত্র ২.৮% হাসপাতাল ‘বাজেট কম’ চিহ্নিত হয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “দেশজুড়ে স্বাস্থ্যসেবার মান তুলনামূলক ভালোর দিকে থাকলেও, বাজেট বৃদ্ধি ও বণ্টনকৌশলের ঘাটতি বড় বাধা হয়ে রয়েছে।” পানির নিটোল ব্যবস্থাপনা, আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রয়োজনীয় জনবল সংকটও সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, বাংলাদেশে মোট ২০৩টি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ খরচে প্রায় ৮০% সেবাগ্রহীতা স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন, যদিও অবকাঠামোর উন্নয়ন ও কার্যকর প্রশিক্ষণের স্বল্পতা রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশ্লেষকরা মনে করেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, বাজেট বৃদ্ধি ও যুক্ত বিবরণী তথ্যের উপর গুরুত্বারোপ করলে আগামী দশকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে আরও দৃশ্যমান অগ্রগতি আসবে।