সারাংশ
২০২৪ সালের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে ডেঙ্গু ও অন্যান্য সংক্রামক জ্বরের কারণে মৃত্যু ও সংক্রমণ আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, মৌসুমী রোগের তীব্রতা এবং জ্বরের প্রাদুর্ভাবের জন্য সার্বিক স্বাস্থ্যপ্রবণতা উদ্বেগজনক আকার ধারণ করেছে। জরুরি পদক্ষেপ ছাড়া পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মূল পয়েন্টসমূহ
- ডেঙ্গু ও অন্যান্য সংক্রামক জ্বরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে
- সবচেয়ে ঝুঁকিতে শিশু, প্রবীণ ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল জনগণ
- হাসপাতালের শয্যা সংকট ও চিকিৎসা খাতে সীমাবদ্ধতা চ্যালেঞ্জের মুখে
- খামখেয়ালিপনা ও সচেতনতার অভাব পরিস্থিতিকে আরও দুর্বল করছে
- সরকারি উদ্যোগ, সচেতনতামূলক প্রচার ও চিকিৎসা অবকাঠামো উন্নয়নের জোর দাবি
বাংলাদেশে সংক্রামক রোগের প্রকোপে জনস্বাস্থ্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। ২০২৪ সালের সর্বশেষ গবেষণা অনুযায়ী, বিগত ১৮ বছরে ডেঙ্গু, জ্বর-জিকা ও চিকুনগুনিয়া সহ সংক্রামক জ্বরের সংক্রমণ ও মৃত্যুতে অভাবনীয় ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ডেঙ্গুতে চলতি বছরেই ২০-৩০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে মৃত্যুর হার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জ্বর এবং ইনফেকশাস রোগে শিশু ও প্রবীণরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১৭ জন জিকা ভাইরাস এবং ২৩ জন চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। ধাপে ধাপে সংক্রমণ বাড়ার পাশাপাশি, চিকিৎসা খাতে অব্যবস্থাপনা ও হাসপাতালের শয্যা সংকট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ ডা. জহুরুল ইসলাম বলেন, 'ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, জনসচেতনতা ও দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।' অন্যদিকে, চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নতি, রোগ শনাক্তকরণ এবং সরকারি- বেসরকারি সমন্বয় জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মারাত্মক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারি পর্যায়ে সার্বিক পরিকল্পনা, সচেতনতামূলক প্রচার, হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি এবং চিকিৎসা সামগ্রীর পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করা জরুরি। গবেষণা বলছে, অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ না নিলে, বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য আগামী দিনে আরও বড় হুমকির মুখে পড়বে।