সারাংশ
সাম্প্রতিক ৪৮ ঘণ্টায় বাংলাদেশ একাধিক যুগান্তকারী সংবিধানিক ও প্রশাসনিক সংস্কার প্রক্রিয়ার সাক্ষী হয়েছে। প্রধান সুপারিশের মধ্যে রয়েছে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, আর্থিক ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের সংস্কার এবং স্থানীয় নির্বাচনে দলে দলে প্রতীক বাতিলের প্রস্তাব। নীতিনির্ধারকরা বলছেন, এই সংস্কারগুলো প্লুরালিজম ও অন্তর্ভুক্তির নতুন দুয়ার খুলবে।
মূল পয়েন্টসমূহ
- দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও বাড়তি রাষ্ট্রপতি ক্ষমতার সুপারিশ
- ৩০০ নির্বাচিত, ১০০ নারী ও ১০% তরুণদের আসনসহ ৪০০ সদস্যের সংসদ, ১০৫ সদস্যের সিনেট
- উপসচিব পদে ৫০:৫০ কোটা নিয়ে দেশব্যাপী প্রতিবাদ
- স্থাপিত পার্টি প্রতীক বাতিলের প্রস্তাব সহ স্থানীয় সরকার সংস্কার
- ঢাকায় প্রথম এশিয়া-প্যাসিফিক বধির দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধন
বাংলাদেশ এ সপ্তাহে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সম্ভাব্য যুগান্তকারী পরিবর্তনের আভাস দিয়েছে। নতুন ঘোষিত সংবিধান সংস্কার কমিশন দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানো এবং উচ্চকক্ষ নির্বাচনের জন্য প্লুরাল প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার সুপারিশ করেছে। কমিশনের একজন সদস্য জানান, 'সংস্কার ছাড়া দেশের শক্তিশালী প্রশাসনিক কাঠামো ও গ্রাসরুট প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।'
এই সংস্কার প্যাকেজ অনুযায়ী, জাতীয় সংসদে ৪০০ সদস্য থাকবে, যেখানে ৩০০ জন সরাসরি নির্বাচিত হবেন, ১০০টি সংরক্ষিত নারী আসন এবং ১০% আসন তরুণদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। পাশাপাশি, নতুন সিনেটে ১০৫ সদস্যের মধ্যে ১০০ জন নির্বাচিত হবেন অনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে এবং ৫ জন মনোনীত হবেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য। সংসদ সদস্য ও সিনেটররা চার বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন।
অন্যদিকে, প্রশাসনিক সংস্কারে প্রথমবারের মতো উপসচিব পদে ক্যাডারদের জন্য ৫০:৫০ কোটা প্রস্তাবনা তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়েছে। দেশজুড়ে ৬৪ জেলাপ্রশাসক এই প্রস্তাব বাতিলের দাবি তুলেছেন। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বলছেন, 'নীতিগত ভারসাম্য ও মেধার ন্যায্য মূল্যায়নের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে।'
স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন পার্টি প্রতীক বাতিলসহ স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য সুপারিশ করেছে। উদ্দেশ্য, সর্বস্তরে গুণগত ও দলনিরপেক্ষ সেবার নিশ্চয়তা দেওয়া।
এসব সংস্কার ছাড়াও, ঢাকায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে এশিয়া-প্যাসিফিক বধির দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪, যেখানে ছয় দেশের ৩৯ জন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সংবিধান ও প্রশাসনিক সংস্কার দেশের প্লুরালিজম ও প্রতিনিধিত্বের নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে। প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো সফল হলে, আগামী সাধারণ নির্বাচন ২০২৫ সালের শেষে বা ২০২৬ সালের শুরুতে অনুষ্ঠিত হতে পারে, যদি ভোটার তালিকার চূড়ান্ত ও সংস্কার সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়।