সারাংশ
২০২৪ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি নানা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে মূল্যায়ন, ব্যাংক ও পুঁজিবাজার খাতে কিছু দৃঢ়তা এবং রপ্তানির ইতিবাচক প্রবণতা অর্থনীতির দৃশ্যপটকে উজ্জ্বল করেছে। তবে ব্যাংকিং খাতে গৃহীত পদক্ষেপকে আরও কার্যকর করতে সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
মূল পয়েন্টসমূহ
- ২০২৪ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির ৮২% সূচক ইতিবাচক প্রবণতায় রয়েছে
- জুন-মার্চ প্রান্তিকে রপ্তানি আয় ১০.৭৮% বৃদ্ধি পেয়েছে
- আইএমএফ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মানদণ্ডে মূল্যায়ন ইতিবাচক
- ব্যাংক ও পুঁজিবাজার খাতে আস্থা কিছুটা পুনঃপ্রতিষ্ঠা হচ্ছে
- সংস্কার ও স্বচ্ছতার গুরুত্ব সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ অব্যাহত
২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশের অর্থনীতি বহুবিধ বৈশ্বিক চাপে থাকা সত্ত্বেও এখনো স্থিতিশীলতা ধরে রেখেছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের প্রায় ৮২ শতাংশ অর্থনৈতিক সূচক উন্নতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বিশেষ করে, পুঁজিবাজারের সূচক ও ব্যাংক খাতে কিছু কাঠামোগত সংস্কার ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, অর্থনীতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে, আইএমএফ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থার শর্তপূরণ এবং মানদণ্ড মূল্যায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি স্পষ্ট। অর্থনৈতিক বিশ্লেষক আতাউর রহমান বলেন, “বিশ্বমন্দার প্রভাব ও ডলারের অস্থিরতা মোকাবিলা করেও বাংলাদেশ রপ্তানি, প্রবাসী আয় এবং শিল্পখাতে ইতিবাচক গতি ধরে রেখেছে।”
রপ্তানি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা চাপে থাকলেও, জুন-মার্চ প্রান্তিকে রপ্তানি আয় ১০.৭৮% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অর্থনীতিকে কিছুটা সচল রাখতে ভূমিকা রাখছে। অন্যদিকে ব্যাংকিং খাতে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের পরিচালনায় উন্নতি এবং গ্রামীণ ব্যাংকের শক্তিশালী পুনর্গঠন কিছুটা আস্থা ফিরিয়েছে। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য বিস্তৃত সংস্কার এখনো সময়ের দাবি।
অর্থনৈতিক সূচকের এই অগ্রগতি বজায় রাখতে হলে ব্যাংকের স্বচ্ছতা, ঋণ খেলাপি দমন, এবং প্রকাশ্য নতুন উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। এই সাফল্য এবং চ্যালেঞ্জের পটভূমিতে দায়িত্বশীল নীতিমালা গ্রহণই পারে বর্তমান অর্জন টেকসই করতে।