সারাংশ
২০২৪ সালের শেষ প্রান্তিকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সুস্পষ্ট সংকট দেখা দিয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়েছে, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট হচ্ছে না এবং শিল্পোৎপাদনেও দেখা দিয়েছে ধীরগতি। বিশেষজ্ঞরা এবং সংশ্লিষ্ট মহল এই পরিস্থিতি কাটাতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও নতুন সংস্কারের তাগিদ দিয়েছেন।
মূল পয়েন্টসমূহ
- শিল্পোৎপাদন ও নতুন বিনিয়োগে স্পষ্ট ধীরগতি
- বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে চ্যালেঞ্জ; অর্থনৈতিক অঞ্চলে নতুন উদ্যোগের তাগিদ
- মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নাগরিক জীবনে চাপ বাড়িয়েছে
- পালি-পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে বাণিজ্যসমঝোতা দুর্বল, এতে অর্থবহ প্রভাব পড়তে পারে
- বিশেষজ্ঞদের অভিমত—দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার ছাড়া অর্থনীতির টেকসই পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়
২০২৪ সালের শেষার্ধে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে স্পষ্টভাবে মন্দার ছায়া নেমে এসেছে। শিল্পোৎপাদন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি কমেছে, বিদেশি বিনিয়োগ কমছে এবং মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। গত ৮০ ঘণ্টায় দেশের নানা সূত্রে অর্থনৈতিক সংকটের একাধিক লক্ষণ ধরা পড়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ভুটান সীমান্তের সঙ্গেও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও সমঝোতা বিঘ্নিত হয়েছে, ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে (সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন)।
শিল্পোৎপাদনে সাম্প্রতিক পতনের প্রভাব স্পষ্ট। দেখা গেছে, নতুন নিয়োগে ভাটা, রপ্তানি বাজার সংকুচিত হওয়া এবং বৈদেশিক মুদ্রার সংকট—সবই অর্থনীতির চাকা মন্থর করে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, "স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সরকারের নতুন বিনিয়োগ নীতিমালা এবং দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার অপরিহার্য,"—এ মন্তব্য করেছেন এফডিআই গবেষক মো. শাহীন আলম (সূত্র: UNB বাংলা)। এছাড়া, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখা সরকারের লক্ষ্য হলেও বৈদেশিক বিনিয়োগ ছাড়া এই উদ্যোগ টেকসই হবে না বলেও মত এসেছে।
মূল্যস্ফীতির লাগামছাড়া ঊর্ধ্বগতি এবং শিল্পকারখানার উৎপাদন হ্রাস—উভয়কেই অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রকাশিত প্রতিবেদনে উদ্ধৃত হয়েছে, "বৈদেশিক বিনিয়োগ কমা, রাজস্ব ঘাটতি এবং ব্যাংকিং খাতে অনুৎপাদক ঋণ বেড়ে যাওয়া আগামী বছরগুলোতে নাগরিক জীবন ও রাষ্ট্র অর্থনীতিতে আরও চাপ বাড়াতে পারে" (সূত্র: এই সময়)।
সার্বিকভাবে, ২০২৪ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বেশ চ্যালেঞ্জিং। এখন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ হল—ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি, স্বচ্ছ রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং মুদ্রানীতি ও ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা। সেই সঙ্গে, রপ্তানি বাজারে নতুন সুযোগ খোঁজা এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে উদ্ভাবনী কৌশল গ্রহণের বিকল্প নেই।