সারাংশ
সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, গত ২ দশকে বাংলাদেশ উন্নয়নের সর্বোচ্চ গতির দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। শিল্প-নগর উন্নয়ন, সামাজিক সূচক এবং বৈশ্বিক স্বীকৃতিতে ঈর্ষণীয় অগ্রগতি ঘটেছে, তবে অর্থনৈতিক বৈষম্য ও সুশাসনের চ্যালেঞ্জও প্রকট। গবেষকরা বলছেন, আরও সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা দেশকে উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।
মূল পয়েন্টসমূহ
- গত ২০ বছর ধরে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান অর্জন করেছে।
- রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও সামাজিক সূচকে অগ্রগতি স্পষ্ট।
- সামাজিক বৈষম্য, সুশাসন ও আঞ্চলিক উন্নয়ন ঘাটতির মতো চ্যালেঞ্জ এখনও রয়েছে।
- গবেষণার তথ্য অনুযায়ী প্রযুক্তি ও সমন্বিত নীতিমালার বিপ্লব প্রয়োজন।
- বিশেষজ্ঞরা আরও কার্যকর পরিকল্পনা ও নিয়মিত মূল্যায়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।
বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্প ও সামগ্রিক সূচকের নিরিখে, গত দুই দশক ছিল দেশের জন্য অভূতপূর্ব সাফল্যের সময়। গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য মতে, রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের ধারা যেমন টেকসই অর্থনীতির ভিত শক্ত করেছে, তেমনি সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সূচকে অগ্রগতির সাক্ষর পাওয়া যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “রপ্তানি খাতে ২০০৮-২০১৯ সময়ে ব্যতিক্রমী সাফল্য এসেছে, যেখানে পোশাক শিল্পে বিশ্বে উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করেছে বাংলাদেশ।” (সূত্র: প্রথম আলো, ২০২৪)। এছাড়া, বৈদেশিক আয়ের ক্রমবৃদ্ধি ও অবকাঠামো খাতে বৃহৎ পরিকল্পনা দেশের কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
তবে চ্যালেঞ্জও নেহাত কম নয়। সামাজিক বৈষম্য, আঞ্চলিক উন্নয়ন হ্রাস এবং সুশাসন ঘাটতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। সমন্বিত পরিকল্পনা, প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিকায়ন ও শিক্ষার উন্নয়ন ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে এই সাফল্য ধরে রাখা কঠিন হবে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ডিসিসিআই-এর তথ্য মতে, দেশের 'মূদ্রানীতি' আরও স্থিতিশীলতার দিকে গেলে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও রপ্তানিতে নতুন সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে।
পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং গড় আয়ু ও শিক্ষার হারও ব্যপক বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সাথে সামাজিক নিরাপত্তা, দুর্নীতি সংকট এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা- এগুলোকে সমাধানে সরকারকে আরও সক্রিয় হতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
সবমিলিয়ে, ‘কৃষ্ণিম অর্জন’ আর পলিসি সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সামনের দশকে ‘উন্নত দেশের’ ক্লাবে প্রবেশের স্বপ্ন দেখছে। বিশ্বমঞ্চে নতুন ও সাফল্যগাথা বাংলাদেশের জন্য সামনে অপেক্ষা করছে ব্যাপক সম্ভাবনা ও দায়িত্ব।