সারাংশ
গত ৮ বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু দেশের মূলধারার সম্প্রদায়ে গবেষণার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও, সাম্প্রতিক বৈশ্বিক গবেষণা তুলে ধরছে চিকিৎসা, জনস্বাস্থ্য ও কূটনৈতিক সংকটে বাংলাদেশের নতুন চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি। বৈশ্বিক মহামারী ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও কৌশলগত প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মূল পয়েন্টসমূহ
- কোভিড-১৯ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বৈশ্বিক চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে
- ২০১৮-২০২২ সালের মধ্যে IFDI সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নত হলেও নতুন সংকটসমূহ সামনে এসেছে
- চীন-যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের ফলে প্রযুক্তি ও গবেষণা খাতে বাংলাদেশের সুবিধা এবং ঝুঁকি উভয়েই রয়েছে
- আফ্রিকার মতো অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বাংলাদেশের জরুরি স্বাস্থ্য প্রস্তুতিতে আরও উন্নয়ন প্রয়োজন
- ভবিষ্যত সংকটের মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সুনির্দিষ্ট নীতিগ্রহণ জরুরি
সম্প্রতি প্রকাশিত বৈশ্বিক গবেষণা ও আন্তর্জাতি্ক সমীক্ষার তথ্য জানাচ্ছে, চীন-যুক্তরাষ্ট্র ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ও কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত নানা সংকটে পড়ছে। গবেষণাটি জানায়, ২০১৮-২০২২ সালের মধ্যে ২৯টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়—কোভিড এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাতে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশসমূহ স্বাস্থ্য ও কূটনৈতিক দ্বৈত চাপ অনুভব করেছে। গত জুন মাসে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ইউক্রেন সংকটে অর্থনৈতিক টানাপোড়েন এবং বৈশ্বিক খাদ্য-স্বাস্থ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় বাংলাদেশের চিকিৎসা অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতা আরও প্রকট হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান তুলনামূলকভাবে উন্নতি করলেও, প্যারিসে নতুন পরিবেশ-সংরক্ষণ চুক্তিসহ আঞ্চলিক জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশকে সামনে আরো বড় চ্যালেঞ্জের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে গবেষকরা বলেন, "কোভিড-১৯-এর মতো বৈশ্বিক মহামারী ভবিষ্যত নীতিনির্ধারণ ও স্বাস্থ্যগত কূটনীতির জন্য একটি কঠিন বার্তা।" সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, দুই দেশের (চীন ও যুক্তরাষ্ট্র) মাঝে প্রযুক্তিগত বৈষম্য এবং গবেষণা বিনিয়োগে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব বাংলাদেশের ক্ষেত্রে উপকার ও চ্যালেঞ্জ দুটোই তৈরি করছে।
বৈশ্বিক স্বাস্থ্য গবেষণা ও ইনফ্লুয়েন্স ডিরেক্টরি ইন্ডেক্স (IFDI) পর্যালোচনায় দেখা যায়, আফ্রিকা এবং এশিয়ার অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও করোনা-পরবর্তী যুগে জরুরি স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানের সঠিক দিকনির্দেশনার সংকটে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক সংহতি ছাড়া সাম্প্রতিক সংকট মোকাবিলা করা বাংলাদেশের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।