সারাংশ
২০২৪ সাল বিজ্ঞান গবেষণার ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। নাসা, চীন এবং ভারতসহ বিশ্বজুড়ে বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় যুগান্তকারী প্রযুক্তি, মহাকাশ অন্বেষণ এবং চমকপ্রদ আবিষ্কারে বিশ্বকে বিস্মিত করেছে। নতুন আবিষ্কার ও রেকর্ড গড়া সাফল্য আগামী দিনের বিজ্ঞানের দিগন্ত উন্মুক্ত করেছে।
মূল পয়েন্টসমূহ
- নাসার লুনার টাইম ক্লক মহাকাশ গবেষণায় ইতিহাসের নতুন অধ্যায় উন্মোচন করেছে
- জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ৩২,০০০ আলোবর্ষ দূরের গ্যালাক্সি পর্যবেক্ষণ করেছে
- ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসেই বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা সংখ্যা ২০,৮৪০ ছাড়িয়েছে
- MIT Technology Review-এর তালিকায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্বাস্থ্য প্রযুক্তিতে বড় সাফল্য
- চীন ও ফ্রান্সের যৌথ স্পেস মিশন এবং ভারতের স্পেডেক্স মিশন গামা রে বার্স্ট শনাক্তকরণে সফল
২০২৪ সাল বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারে নানা চমক এবং অগ্রগতিতে ভরা এক বছর। নাসার বিজ্ঞানীরা জুন মাসে সময়ের এক নতুন স্তম্ভ ছুঁয়েছেন – তাদের তৈরি 'লুনার টাইম ক্লক' মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যা ভবিষ্যৎ মিশন সহজতর করবে। একই সময়ে, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ আমাদের গ্যালাক্সির জীবন রহস্য অনুসন্ধানে ৩২,০০০ আলোবর্ষ দূরের তারকাবৃত্তকে শনাক্ত করেছে, যা প্রসঙ্গত বিজ্ঞানের ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘ দূরত্বের পর্যবেক্ষণ।
বিশ্বের গবেষকরা ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসেই ২০,৮৪০টি বৈজ্ঞানিক গবেষণা নিবন্ধ রেকর্ড করেছেন (সূত্র: নাসা, ১৪ জুন ২০২৪)। এটি আগের বছরের তুলনায় বিশাল প্রবৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। MIT Technology Review-এর তথ্যমতে, ২০২৪ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জেনারেটিভ এআই, অত্যাধুনিক ড্রাগ-ডিসকভারি, নতুন এইচআইভি প্রতিরোধী পদ্ধতি এবং পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির অগ্রগতি বিপ্লব ঘটিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণাগারে।
এদিকে, ২০২৪ সালের জুনে চীন-ফ্রান্স যৌথ উদ্যোগে তৈরি স্পেস টেলিস্কোপ 'স্পেস ভ্যারিয়েবল অবজেক্ট মনিটর' গামা রে বার্স্ট চিহ্নিতকরণে ২৮৩ কিমি উচ্চতায় সফল পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন করেছে, যা মহাবিশ্বের গোপন তথ্য জানার নতুন দ্বার উন্মুক্ত করেছে। পাশাপাশি, ভারতের মহাকাশ সংস্থা 'স্পেডেক্স' ডকিং মিশনের সফলতা এবং দেশটির নতুন মহাকাশ প্রযুক্তি একটি যুগান্তকারী মাইলফলক হয়ে উঠেছে।
বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী ও ওয়েব পোর্টালগুলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনার সর্বমোট পাঠক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কয়েক কোটি। বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. রকিবুল ইসলাম বলেন, "গত এক দশক পর এমন বৈজ্ঞানিক বহু অগ্রগতি একই বছরে দেখতে পাওয়া সত্যিই বিরল।"
২৫ ধারাবাহিক গবেষণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নয়া যুগ, মহাকাশ অন্বেষণের নব দিগন্ত এবং স্বাস্থ্য প্রযুক্তির নজরকাড়া সাফল্য – এই সব কিছু ২০২৪ সালকে বৈজ্ঞানিক ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখবে।