সারাংশ
গত ১৮ মাসে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্টার্টআপ উদ্ভাবন, এবং গবেষণায় আন্তর্জাতিক সংযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এই অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি আগামী বছরগুলিতেও ভবিষ্যতের জন্য এক ইতিবাচক বার্তা বহন করছে।
মূল পয়েন্টসমূহ
- গত দেড় বছরে বাংলাদেশে স্টার্টআপ ও গবেষণা খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে
- বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ২৭%
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি এবং মোবাইল সফটওয়্যার খাতে অভিনব উদ্ভাবন হয়েছে
- বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি কোম্পানির সাথে নতুন দিকের পার্টনারশিপ বাড়িয়েছে দেশ
- ভবিষ্যতের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতকে প্রস্তুত করতে সরকারি ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দৃশ্যমান
গত দেড় বছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতি দেশবাসীর স্বপ্নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবনের ধারাবাহিকতা বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থাকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্বখ্যাত পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের শুরু থেকে বাংলাদেশে স্টার্টআপ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো ‘ইনঅ্যাক্টিভিটি রিভুট’ ভাবনার মতো অভিনব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে ব্যস্ত রয়েছে — যার ফলে বৈশ্বিক আয়ের নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্যতম বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তি বিশ্লেষক করিম ছান্টাই বলেন, "আমাদের উদ্ভাবনী শক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত অপ্টিমাইজেশনে দেখা যাচ্ছে, বিদেশি বিনিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব বেড়েছে ২৭% পর্যন্ত।"
মুনাফার দিক থেকেও এই খাতটি চলছে সাফল্যের ধারায়। গবেষকরা জানিয়েছেন, মোবাইল এবং আইফোন ভিত্তিক বিভিন্ন সফটওয়্যার ও স্মার্ট ডিভাইস ভবিষ্যতে উৎপাদনশীলতার নতুন মাত্রা যোগ করছে। টিএসএমসি, হুয়াওয়ে, স্যামসাং—এমন সুপ্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর সাথে বাংলাদেশের প্রযুক্তিখাতের পার্টনারশিপ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “সামনের দিনে সারা বিশ্বের সামাজিক মিডিয়া প্রকৌশল এবং ডেটা সাইন্স বাংলাদেশ থেকেই উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।” পরীক্ষিতভাবে, নতুন গবেষণার ফলে সামাজিক মিডিয়া নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের দক্ষতা গড়ে তুলতে ৯০ মিনিট ব্যয়লগ্নিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে।
সরকারি উদ্যোগ এবং ওপেনএআই-এর মতো প্ল্যাটফর্মের সহায়তায়, দেশের প্রযুক্তি খাতের সার্বিক উন্নয়নে সুস্পষ্ট পথনির্দেশনা তৈরি হয়েছে। প্রযুক্তিবিদ সুষমা শান্তা বলেন, “পূর্বের চেয়ে এখন বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাত আরও বেশি প্রস্তুত, এবং এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে।”
সব মিলিয়ে, বাজার গবেষণা থেকে শুরু করে সামাজিক প্রকৌশল—সবখাতে বাংলাদেশের প্রযুক্তির এই বৈপ্লবিক অগ্রগতি জাতীয় উন্নয়নে এক নতুন দিগন্ত সংযোজন করেছে।