সারাংশ
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ২০২৫ সালে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং মানবিক সংকট একযোগে নতুন বৈশ্বিক বিভেদের জন্ম দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ব্যাহত হলেও কিছু অঞ্চলে সৃষ্টিশীল প্রকল্প মানবিক সহায়তা বাড়াতে পারছে।
মূল পয়েন্টসমূহ
- ২০২৫ সালে রাজনৈতিক বৈরিতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ছে বিশ্বব্যাপী বিভেদ।
- যুক্তরাষ্ট্র-ভাৰত প্রতিযোগিতা ও ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক সহযোগিতাকে ব্যাহত করছে।
- IMF-World Bank এর আলোচনায় মূল বিষয় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা।
- মানবিক সংকটে সাড়া দিতে কিছু সৃজনশীল উদ্যোগ আশার আলো দেখাচ্ছে।
- বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন ধরনের আন্তর্জাতিক বোঝাপড়া ও মানবিক সহায়তা জরুরি।
২০২৫ সালে বিশ্ব অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির দৃশ্যপট ক্রমশ জটিল ও বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে উঠছে। গ্লোবাল রিস্কস রিপোর্ট ২০২৫ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র-ভাৰত প্রতিযোগিতা, অস্থির বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বিষয়ক আলাপ এবং ইউক্রেন যুদ্ধ — আন্তর্জাতিক মঞ্চে নানামুখী উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে তুলেছে।
বিশেষজ্ঞ ড. সায়রা রহমান বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক চালচিত্রে পারস্পরিক অবিশ্বাস ও বিচ্ছিন্নতা স্পষ্ট; আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জায়গায় তৈরি হয়েছে অনিচ্ছুক অ্যালায়েন্স।” তিনি আরো যোগ করেন, “এ ধরনের পরিস্থিতিতে আর্থিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্তরে অস্থিরতা প্রভাব ফেলছে সাধারণ মানুষের ওপর।"
সাম্প্রতিক সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে কোনো উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষণ নেই, বরং দেশের অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতা এবং আঞ্চলিক বিভাজন আরো প্রকট হচ্ছে। বিশেষত, ইউরোপ-রাশিয়া টানাপোড়েনে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি বাড়ছে, যখন IMF ও World Bank বৈঠকে প্রধান আলোচ্য বিষয় রয়ে গেছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা।
তবে সংকটের মধ্যেও আশার আলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। কিছু মানবিক কর্মসূচি ও সৃজনশীল সামাজিক উদ্যোগ নতুন পারস্পরিক সহায়তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে, যা হতাশার মধ্যে সাধারণ মানুষকে কিছুটা সুরক্ষা ও আশা জুগিয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, টেকসই ভবিষ্যতের জন্য দরকার আন্তঃদেশীয় বোঝাপড়া ও মানবিক সহযোOগিতার নতুন মডেল।
বিশ্ব ২০২৫-এ দাঁড়িয়ে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, ঝুঁকি ও অভিযোগের মধ্যেও সংকল্প ও সৃজনশীলতায় গড়ে উঠতে পারে সহনশীল ভবিষ্যতের পথ।