সারাংশ
গত ৮২ ঘণ্টার মধ্যে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ আমেরিকার সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক কাড়ছেন দীর্ঘমেয়াদি অনিশ্চয়তার ব্যাপারে। বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় থাকলেও নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে পুঁজিবাজার।
মূল পয়েন্টসমূহ
- মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ৫.২৫%-৫.৫০% সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল
- বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এই সিদ্ধান্ত মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে
- বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা থাকলেও পুঁজিবাজার চাপে
- বিশ্লেষকরা বলছেন, বিনিয়োগকারীর আস্থার জন্য দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা জরুরি
- বিশ্ববাজারে ফেডারেলের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের বার্তা দিচ্ছে
গত সোমবার (৯ ডিসেম্বর) মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ৫.২৫%-৫.৫০% স্তরে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে, যা চলতি বছরের দ্বিতীয়বারের মতো ঘটনা। এই সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক মুদ্রাবাজার ও অর্থনীতিতে নতুন অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করেছে। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের নীতিনির্ধারকরা জানান, 'বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবণতা ও মূল্যস্ফীতির চাপে আমরা পর্যবেক্ষণমূলক অবস্থানে আছি।' (সূত্র: ABP Live, ৯-১২-২০২৪)
বিশ্লেষকদের ভাষ্য মতে, সুদের হার অপরিবর্তিত রাখলেও যুক্তরাষ্ট্রের কার্যকরী মুদ্রানীতি আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে। আজকের বাংলাদেশ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মস্কো গ্রুপের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, 'বিশ্বব্যাপী আর্থিক প্রবাহে ফেডারেলের সিদ্ধান্তের সরাসরি প্রভাব পড়ছে।'
বিশ্ববাজার পরিস্থিতি তুলে ধরে, ফাইন্যান্স ফিডস জানিয়েছে, 'শ্রমবাজার ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকলেও, বৈশ্বিক বাজারে অনিশ্চয়তা ও বিনিয়োগকারীর আস্থা কিছুটা দুর্বল থাকার ঝুঁকি রয়েছে। বন্ড মার্কেটে প্রত্যাশিত হারে সুদের হার বাড়েনি এবং স্টক এক্সচেঞ্জ ও ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।'
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক সুনির্দিষ্টভাবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নীতিমালা কঠোর করেছে। দেশের ব্যাংকিং খাত ৯ ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, মূলধন পর্যাপ্ততাসহ (১৯৮৬ কোটি টাকা) সুদের হার ৯% লকসীমার মধ্যে রয়েছে (সূত্র: দেশ প্রতিক্ষণ)। তবে দেশের পুঁজিবাজারের দিক থেকে অস্থিরতা কাড়া যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, 'বিনিয়োগকারীদের আস্থা টিকিয়ে রাখতে এশীয় বাজারে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরি।'
সার্বিকভাবে, মার্কিন ফেডারেলের সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা, যা ব্যাংক, পুঁজিবাজার ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও নতুন চ্যালেঞ্জের বার্তা দিয়েছে।