সারাংশ
গত ২৪-৪৮ ঘন্টায় বিশ্বজুড়ে সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী বৈশ্বিক মানবিক সংকট, চলমান যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাকে স্পষ্ট করেছে। জাতিসংঘের জরুরি সাহায্যের আবেদন, মধ্যপ্রাচ্য, সুদান, রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য গৃহীত চুক্তি পরিণতির দিক নির্দেশ করছে।
মূল পয়েন্টসমূহ
- জাতিসংঘ ২০২৫ সালে ১৯ কোটি মানুষের জন্য ৪৭ বিলিয়ন ডলার সাহায্যের আবেদন করেছে।
- ইসরায়েল-হামাস সংঘাত ও গাজা, পশ্চিম তীরে মানবিক বিপর্যয় গভীর হচ্ছে।
- সুদানের খাদ্য সংকটে ৭.৫ লক্ষ মানুষ অনাহারের মুখে পড়েছে।
- বিশ্বব্যাপী ভুল তথ্য, রাষ্ট্রভিত্তিক সংঘাত ও ভূ-রাজনৈতিক বিভাজনের ঝুঁকি বেড়েছে।
- জলবায়ু বিপর্যয় ও সাইবার হুমকির পাশাপাশি নবায়নযোগ্য শক্তির বৈচিত্র্য লোকসান কমাচ্ছে।
২০২৫ সালে পা রাখতেই বৈশ্বিক অঙ্গন একাধিক বৃহৎ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। জাতিসংঘ সম্প্রতি এক সংকটকালীন ডাকে জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে ৭২টি দেশের ১৯ কোটি মানুষের জন্য ৪৭ বিলিয়ন ডলার মানবিক অর্থ সহায়তা প্রয়োজন হবে। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, “সংঘাত, জলবায়ু দুর্যোগ এবং মানবিক বিপর্যয়—সবদিক থেকেই মানবসভ্যতা কঠিন সময় পার করছে।”
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে খুবই ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি বজায় থাকলেও গাজা ও পশ্চিম তীরে মানবিক পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সামরিক অগ্রগতি ও ইউক্রেনের প্রতি বিদেশি সহায়তা হ্রাস পাওয়ায়, রাশিয়া-পন্থী যুদ্ধবিরতির আশঙ্কা আন্তর্জাতিক মহলে বাড়ছে।
সুদানের নাগরিক সংঘাতে খাদ্য নিরাপত্তা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০২৪ সালেই ৭.৫ লাখ মানুষ অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং আগামী বছরেই এ অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ‘Pact for the Future’ অনুমোদন দিয়েছে, যার লক্ষ্য বহুপাক্ষিক কাঠামো সংস্কার ও বৈশ্বিক সংকট একসাথে মোকাবিলা করা। বিশেষজ্ঞরা সাবধান করে বলেছেন, “রাষ্ট্রভিত্তিক সশস্ত্র সংঘাত, ভুল তথ্য বিতরণ ও ভূ-রাজনৈতিক বিভাজন আগামী বছর প্রধান ঝুঁকি হয়ে থাকছে।”
জলবায়ু পরিবর্তনের চরম রূপ—গরমের দাপট, বন্যা, দাবানল—এবং সাইবার নিরাপত্তার হুমকি বৈশ্বিক স্থিতিশীলতায় নতুন চ্যালেঞ্জ যোগ করেছে। আশার কথা হচ্ছে, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং জ্বালানি উৎসের বৈচিত্র্যায়নের ফলে এখন আর সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনার প্রভাব ততটা বড় নয়।
বিশ্বজুড়ে এ ধরনের বহুস্তরীয় দুর্যোগ ও পরিবর্তন দেখিয়ে দেয়, আগামী বছরগুলোতে সম্মিলিত উদ্যোগ ও টেকসই সমাধানই বাঁচার মূল চাবিকাঠি।