সারাংশ
২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবায় চরম বৈষম্য ও সংকট চিহ্নিত হয়েছে। উন্নত দেশগুলিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হলেও, দরিদ্র ও নিম্নআয়ের দেশগুলিতে ধরা পড়েছে পরিষেবা-অভাব ও বণ্টনের সংকট। বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব ও প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগ সুস্থ ও সমতা নির্ভর ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য জরুরি বলে গবেষকরা মত দিয়েছেন।
মূল পয়েন্টসমূহ
- ২০২৪ সালে স্বাস্থ্যসেবার বৈষম্য ও হলেও উন্নত দেশের তুলনায় উন্নয়নশীল দেশে সংকট প্রকট
- সম্প্রতি সংঘাতে ইউক্রেন ও গাজায় স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগী হত্যার ঘটনা উদ্বেগজনক
- বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকৃত অগ্রগতির জন্য বৈশ্বিক সহযোগিতা, উন্নত বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি দরকার
- বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ও মহামারিও স্বাস্থ্যখাতে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসছে
- সমন্বিত পদক্ষেপ ও বিজ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনার উপর জোর দিতে হবে আন্তর্জাতিক বিভাজন কমানোর লক্ষ্যে
২০২৪ সালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, সমগ্র বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবায় মারাত্মক বৈষম্য ও সংকট প্রতীয়মান হচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতে আধুনিক চিকিৎসা ও উচ্চমানের স্বাস্থ্য সুবিধা সহজলভ্য থাকলেও, দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এখনও স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছেনি প্রত্যাশিত হারে।
শুধুমাত্র ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ, রাশিয়া ও ইসরায়েলের মত সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে গত ৯২ দিনে ৯০ জন নিহত হয়েছে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিভিন্ন আক্রমণে। অন্যদিকে, গাজার হাসপাতালে ২৮ জন নিহত হওয়ার তথ্য উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তুলে ধরে। এসব ঘটনা স্বাস্থ্যখাতে মানবিক সংকটের এক গভীর সত্য প্রকাশ করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 'পর্যাপ্ত বিনিয়োগ, প্রযুক্তির সমন্বয় এবং বৈশ্বিক সহযোগিতা ছাড়া প্রকৃত অর্থে স্বাস্থ্য খাতে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।' ২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতি এবং সংকট নিরসনে উদ্যোগী হতে বিভিন্ন দেশকে একত্রে পদক্ষেপ নিতে হবে।
অন্যদিকে, উন্নত দেশগুলাতে স্বাস্থ্যসেবার অর্থনৈতিক, সামাজিক অবস্থার উন্নতির পাশাপাশি প্রযুক্তিনির্ভর এবং টেকসই ব্যবস্থা গড়ে উঠলেও, বেশিরভাগ দরিদ্র দেশে এখনও মৌলিক স্বাস্থ্য সুবিধা পৌঁছেনি প্রতিটি পর্যায়ে। যু্ক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, এবং অন্যান্য মধ্য আয়ের দেশগুলিতে জনস্বাস্থ্য খাতে পর্যাপ্ত বাজেট বাড়ানো ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য সুবিধার আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিভিন্ন সংস্থার মতে, 'কেবলমাত্র রাষ্ট্রগত নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নীতিমালা ও অর্থায়নের সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে'। একই সাথে, ক্লাইমেট চেঞ্জ ও মহামারির মত বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জেও স্বাস্থ্যখাতকে অধিকতর টেকসই ও সহনশীল করার জন্য উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে, স্বাস্থ্যসেবার অবাধ প্রবাহ ও সকল নাগরিকের জন্য সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব, বিজ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনা এবং প্রযুক্তিগত সমন্বয় অত্যাবশ্যক।