সারাংশ
COP29 সম্মেলনে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ২০০ বিলিয়ন ডলারের জলবায়ু সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় এবং বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মূল পয়েন্টসমূহ
- COP29 সম্মেলনে দরিদ্র-উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ২০০ বিলিয়ন ডলারের ঐতিহাসিক জলবায়ু তহবিল বরাদ্দ
- এই অর্থ নবায়নযোগ্য শক্তি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবহৃত হবে
- সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতিবছর গড়ে ২৯.৩ ট্রিলিয়ন ডলার আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে গরিব দেশগুলো
- বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন কমাতে, জলবায়ু অভিযোজন ও স্থানীয় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে নতুন চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ
- বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই পদক্ষেপ জলবায়ু সংকটে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে COP29 সম্মেলনে, যেখানে ধনী দেশগুলো ২০০ বিলিয়ন ডলার তহবিল বরাদ্দে সম্মত হয়েছে। এই অর্থায়ন উন্নয়নশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অভিযোজন, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি প্রসার ও জরুরি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যয় হবে।
সম্মেলনের এক আলোচনায় জানা যায়, ২০২৯ সালের মধ্যে সম্ভবত ২০ শতাংশ বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন কমানো সম্ভব হবে এই বরাদ্দের আওতায় গ্রহণযোগ্য উদ্যোগ এবং টেকসই প্রকল্পের মাধ্যমে। বাংলাদেশ, ভানুয়াতু, সিয়েরা লিওনসহ নানা দেশের প্রতিনিধিরা বলেছেন, "এই বরাদ্দ জলবায়ু লড়াইয়ে আমাদের জন্য গেম চেঞ্জার।" IRC-এর গবেষণার তথ্য মতে, বৈশ্বিক মানবিক সহায়তার একটি তৃতীয়াংশই জলবায়ু দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের জন্য ব্যয় হচ্ছে।
চুক্তির আওতায়, গরিব দেশগুলো বছরে গড়ে ২৯.৩ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখোমুখি হয় জলবায়ু ক্রান্তির কারণে, যা মোট জাতীয় উৎপাদনের ১০-১৩ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, শুধু বন্যা নয়, দুর্ভিক্ষ এবং চরম আবহাওয়া পরিস্থিতিতেও অধিকাংশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ কার্যকর সহায়তা পায়নি। নতুন বরাদ্দ এ ঘাটতিই কমাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
বিশ্বব্যাপী বেসরকারি খাত, দাতা সংস্থা ও সরকার সমন্বিতভাবে জরুরি জলবায়ু বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে কাজ করছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেন, "বৈশ্বিক জলবায়ু প্রতিরোধে এ ধরনের টেকসই অর্থায়ন দরকার ছিল বহুযুগ ধরেই।"
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত শুধু প্রয়োজনীয় তহবিলের জোগানই নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এক সাহসী পদক্ষেপ।