সারাংশ
গত দুই দশকের মধ্যে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে দেখা গেছে নানা আকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন, তবে কার্যকর সংস্কারের জন্য প্রয়োজন সুস্পষ্ট নীতিমালা ও অংশীজনের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও তথ্যের নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহ নিশ্চিত করতে গণমাধ্যম সংস্কার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
মূল পয়েন্টসমূহ
- গণমাধ্যম সংস্কারের জন্য অংশীজনের মতামত অপরিহার্য বলে গবেষণায় সুপারিশ
- উল্লেখযোগ্য নীতিগত উন্নয়ন গত দুই দশকে হয়নি
- সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার জন্য নতুন আইন ও নীতিমালা প্রয়োজন
- সংস্কার প্রক্রিয়ায় সাংবাদিক সংগঠনগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ দাবি
- গণতন্ত্র ও তথ্যপ্রবাহ সুরক্ষায় টেকসই গণমাধ্যম ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা
বাংলাদেশের গণমাধ্যম খাত বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছে। গণতন্ত্র, তথ্যপ্রবাহ এবং জনস্বার্থ-রক্ষায় গণমাধ্যমের সৎ ও কার্যকর ভূমিকা স্বীকৃত হলেও, সুষ্ঠু সংস্কারের অভাবে নানা সংকটে জর্জরিত হচ্ছে এই খাতটি। ২০২৪ সালের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, গত ২০ বছরে কোনো তাত্পর্যপূর্ণ উন্নতি হয়নি; বরং নতুন নীতিমালা ও আইন না থাকায় সাংবাদিকদের স্বাধীনতা বিঘ্নিত হচ্ছে।
ড. মাহমুদ হাসান, গণযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ, বলেন, “গণমাধ্যমের টেকসই সংহতি প্রতিষ্ঠায় অংশীজনদের মধ্যে সম্মিলিত মতামত অপরিহার্য। শুধুমাত্র নীতিনির্ধারকরা একতরফা সিদ্ধান্ত নিলে গণমাধ্যম কখনোই পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা পাবে না।” সমকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, গবেষকরা সুপারিশ করেছেন—অংশীজনের মতামত ছাড়াই কোনো গণমাধ্যম সংস্কার করা ঠিক হবে না। অন্যদিকে, ডাকাপোস্ট জানিয়েছে, সাংবাদিক নিরাপত্তা ও তথ্যের নিশ্চয়তার জন্য সামাজিক সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সংস্কারের পথে কর্মরত সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়ন ও অপরিপক্ক নীতিমালার সংশোধন জরুরি। জনতার আদালত-এর তথ্য বলছে, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে শুরু করে সকল স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।” গবেষণা অনুসারে, অংশীজনের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং আইন কার্যকর হলে গণমাধ্যম সুশাসন আরও মজবুত হবে।
এদিকে, বিভিন্ন গণমাধ্যম সংগঠন দাবী তুলেছে, ‘প্রেস কাউন্সিল’ ও সাংবাদিক সুরক্ষা আইন দ্রুত পাসের মাধ্যমে কর্মপরিবেশ সুরক্ষিত করতে হবে। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান বলেন, “সংকট উত্তরণে যথাযথ পদক্ষেপ নিলে শুধু গণমাধ্যমের স্বাধীনতাই নয়, দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোও হবে আরও শক্তিশালী।” অতএব, সময় এসেছে—গণমাধ্যমকে টেকসই, সমন্বিত ও সমাজমুখী করতে কার্যকর সংস্কারের।